নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁয়ে চলতি মাসের ৬ তারিখের পর থেকে গড়ে প্রতিদিনই একটি করে ধর্ষণের ঘটনা ও ধর্ষণের দায়ে সোনারগাঁ থানায় পৃথক ৩টি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হচ্ছে। এর মধ্যে গতকালই দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আবার ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ৩জনই গ্রেফতার হয়েছেন। গত দিনে সোনারগাঁ উপজেলা বৈদ্যেরবাজার, বারদী ও সনমান্দিতে তিনটি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে দুইজন রয়েছেন শিশু আর একজন কিশোরী।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার হাড়িয়া জেলে পাড়া এলাকায় আপন চাচার ঘরে ঘুমাতে গিয়ে চাচাতো ভাইয়ের হাতে ধর্ষিত হয় ৫শ শ্রেনিতে পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রী। ধর্ষণের ঘটনাটি পরিবারের পক্ষ থেকে ছাপিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সোনারগাঁ থানা পুলিশের হস্থক্ষেপে মাদ্রাসা ছাত্রীটির মা বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর কুমিল্লা তিতাস থানায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষক ফজলে রাব্বি (১৮)কে গ্রেফতার করে র্যাব-১১ একটি দল।
অপরদিকে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আপন ছোট বোনকে মাদ্রাসায় খাবার পৌচ্ছে দিয়ে বাড়ীতে যাওয়ার পথে বখাটের লালসার শিকার হয়ে ধর্ষিত হয় ৯ বছরের স্কুল ছাত্রী। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ধর্ষকের বাড়ীতে এলাকাবাসী হানা দিয়ে ধর্ষক সোহেল (২২) মিয়াকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই ধর্ষিত শিশুটির বাবা বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, গত শনিবার বিকেলে বারদী ইউনিয়নে আলগীচর এলাকায় চাচাতো শালীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন কিশোরীর পিতা। এ ঘটনায় গত শনিবার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুলাভাই আরফান হোসেন সাগরকে আটক করে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ৩টি ধর্ষণের ঘটনাই পৃথক মামলা দায়ের করে আসামী গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।